২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার, রাত ৯:১০



আজ : ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

  • কোন মন্তব্য নেই

    ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক প্রকল্প’ একনেকে বাতিল

    নিজস্ব প্রতিবেদক । নিউজনেক্সটবিডি.কম

    লাঠিটিলা বনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পটি বাতিল করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

    রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেকের সভায় আজ এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘লাঠিটিলা বন জীববৈচিত্র্যের হটস্পট হওয়ায় একনেক প্রকল্পটি বাতিল করেছে। এই এলাকায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণ বনের বাস্তুতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

    এর আগে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সাফারি পার্ক প্রকল্পের অনুমোদন বাতিলের সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

    ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পটি ৯ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে একনেক সভায় শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদিত হয়। একনেক সভার সিদ্ধান্তের পর, জীববৈচিত্র্যের উপর প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন এবং সুপারিশ প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয় ২১ আগস্ট, ২০২৪ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।

    সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইসতিয়াক উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়। পরে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজের পরিচালক পাভেল পার্থকে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    বনের জীববৈচিত্র্যের উপর প্রস্তাবিত সাফারি পার্কের সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার পর কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে এই প্রাকৃতিক বনে সাফারি পার্ক স্থাপন করা উচিত নয়। এ কারণে কমিটি প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করেছে। এছাড়া, বনটির অবক্ষয়িত অংশ এবং হুমকির মুখে থাকা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করার জন্য বন বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।