২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার, রাত ১:৫৩



আজ : ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : অক্টোবর ১৭, ২০২৪

  • কোন মন্তব্য নেই

    শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

    Test Caption

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। আদালত এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনতে যা যা করা প্রয়োজন তা করবো। কারণ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেছে পুলিশের কাছে। পুলিশ এটি পারবে না। তাই আমাদের যুক্ত হতে হবে।

    যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা কে কোন দেশে আছেন, সেটার কোনো নির্দিষ্ট তালিকা আছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমার কাছে যে তালিকা আছে, সেটি মিডিয়া থেকে নেওয়া। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, আমরা চেষ্টা করবো তাদের সবার অবস্থান চিহ্নিত করতে।

    শেখ হাসিনা কোথায় আছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আনঅফিসিয়ালি যতটুকু জানি তিনি সম্ভবত দিল্লিতে আছেন।

    ভারতের ভিসা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভিসা দেওয়া, না দেওয়া একটা দেশের নিজস্ব বিষয়। এটা তাদের জিজ্ঞেস করা যায় না। আমরা যেটা করেছি, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বুঝিয়ে বলেছি। তারা এ মুহূর্তে জরুরি মেডিকেল ভিসা ছাড়া অন্য ভিসা দিচ্ছে না। নিরাপত্তার কারণে তাদের লোকবল কম। তাই তারা ভিসা দিচ্ছে না।

    সরকার পরিবর্তনের পর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সঙ্গে কোন দেশের সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে এবং কোন দেশের সঙ্গে শীতল হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমি মনে করি সেটা এখন কেটে গেছে। আমরা সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্কে রাখতে চাই।

    এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, লেবাননে আমাদের ৭০ হাজার থেকে এক লাখ প্রবাসী আছেন। সঠিক সংখ্যাটা কেউ জানে না। কারণ, সবাই বৈধভাবে যান না। লেবাননে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানকার বাংলাদেশি প্রবাসীরা যারা ফেরত আসতে চান, তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮০০ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন ফেরত আসার জন্য। অনেকে আবার ফেরত আসতে চান না। বিপদ জেনেও অনেকে সেখানে থেকে যেতে চান।