১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৬:৩৩



আজ : ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : মার্চ ৬, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    অনাবৃষ্টিতে রবিশস্যের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা

    বেতাগী বিবিচিনি ইউনিয়নে মুগ ডালের খেত থেকে তোলা, ছবি - জসিম উদ্দিন/ নিউজনেক্সট

    বেতাগী বিবিচিনি ইউনিয়নে মুগ ডালের খেত থেকে তোলা, ছবি – জসিম উদ্দিন/ নিউজনেক্সট

    জসিম উদ্দিন, বেতাগী(বরগুনা) প্রতিবেদক:

    অনাবৃষ্টিতে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় রবিশস্যের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। লোকসানের মুখে পড়বেন চাষিরা।

    অনাবৃষ্টি এবং খাল-বিলে পানি কমে যাওয়ায় ফসলের খেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ফসলের গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষক।

    সঠিক সময়ে চাষাবাদ, বীজ বপন ও পরিচর্যায় কোন অংশেই কম ছিলো না। যে পরিমাণ অর্থ ও শ্রম ব্যয় হয়েছে তাতে আশানুরূপ ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে চোখে-মুখে হতাশার ছাপ চাষিদের। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বৃষ্টির অভাবে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রকম ভাইরাসের আক্রমণ।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে বিভিন্ন ফসল মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ঢেড়স, বরবটি, ভূট্রা,গম, গোল আলু, মিষ্টি আলু ও পুইশাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও লতা কৃষির চাষ করা হয়েছে ১১৮২৫ হেক্টর জমিতে।এ বছর ডাল জাতীয় ৯০২০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় এবং ৬০২৩ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল আর বাকি সব অন্য ডাল চাষ করা হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় মুগ ডাল এই বছরে অনেক বেশি জমিতে চাষ করা হয়েছে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়নের রবিশস্য প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ও রোদের তাপে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা কয়েক লাখ টাকার লোকসানের মুখে পড়তে পারেন।

    এ বছর মার্চ পর্যন্ত কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও বিবিচিনিতে কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলের গাছ ঠিক মতন ওঠেনি যা উঠছে তাও বৃদ্ধি হয়নি। ফুল ও ফল রোদের তাপে ঝড়ে পড়েছে। আর যতটুকু ফলন হয়েছে তাতে এখনও পুষ্টি আসেনি। স্বল্প খরচ আর কম সময়ে অধিক লাভের আশায় মুগ ডাল চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন বেতাগী উপজেলার মুগ ডাল চাষিরা।

    গত এক দশকে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের বীজ বাজারে আসায় কৃষক খেসারির পরিবর্তে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়েছে মুগ ডাল চাষে। উচ্চ ফলনশীল এসব বীজে ফলন বেশি। উৎপাদন খরচ কম। চাহিদাও ব্যাপক। বেতাগী উপজেলায় এবার ১০১৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ করা হয়েছে। এতে ০৭ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ জানান, মুগ ডাল একটি লাভজনক ফসল। মুগ ডাল চাষের জমিতে পরবর্তী সময়ে আমন চাষ করার জন্য ইউরিয়া সারের তেমন প্রয়োজন হয় না।

    মুগ ডাল চাষের কারণে জমিতে প্রচুর জৈব সারের সৃষ্টি হয়। এর ফলে আমনের ফলন খুব ভালো হয়। তবে এই বছর অনাবৃষ্টির কারণে মুগ ডালের খেতে বিভিন্ন রকম ভাইরাস ও পোকামাকড়রে আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আমরা কৃষকদের যথাযথ সময়ে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়িছে। আশা করা যায় মুগ ডালের ফলন ভালো হবে।