১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার, রাত ২:৫৭



আজ : ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার প্রকাশ করা : এপ্রিল ১৩, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    আগামীকাল পহেলা বৈশাখ: রমনায় কড়া নিরাপত্তার বলয়

    স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা : আগামীকাল সোমবার পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি আজ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরন করে নিবে।

    কাল পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী এবং সারাদেশ জুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে।।ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। ছায় নটের শিল্পিরা অনুষ্ঠানের মূল বার্তা দিবে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশ প্রেমের গান দিয়ে অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে।

    মঞ্চ বাঁধা শেষ। সেখানে প্রায় দেড় শ কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পী উপবেশন করে সুরবাণীতে নতুন বছরকে আবাহন জানাবেন ছায়া নটের শিল্পিরা। কাল (সোমবার ) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। মোট ২৪টি পরিবেশনা হবে। এর মধ্যে ৯টি থাকবে সম্মেলক গান, ১২টি একক শিল্পির কণ্ঠের গান ও ৩টি থাকবে নববর্ষের কথন পাঠ দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার এই বটমূলে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।

    আজ রোববার বিকেলে বটমূলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মঞ্চের সামনে দর্শকদের বসার জায়গাটি বাঁশ-কাঠ দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। মঞ্চের দুই পাশে সাউন্ডবক্স, মাইক্রোফোন, শব্দনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছায়া নটের কয়েকজন সদস্য জানালেন, বেলা তিনটায় শিল্পীরা মঞ্চে এসে বসবেন। শুরু হবে চূড়ান্ত মহড়া।

    আগামীকাল সোমবার পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রমনা পার্ক এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো রমনা পার্কের জনগনের যাতায়াত মনিটরিং করতে প্রায় ৪০ টির মত সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মনিটরিং করার করার জন্য স্থাপনা করা হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প।

    র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহীদুর রহমান আশাকরছেন পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হবে না। নববর্ষেও অনুষ্ঠানঅনুষ্ঠান যেন সুষ্ঠুভাবে করা যায় সে জন্য সবার সঙ্গে সমন্বয় করে া সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব।

    শহীদুর রহমান বলেন, আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও জনপ্রতিনিধি জনসাধারণের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। আমরা সর্বপ্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি সুন্দর ভাবে আমরা এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারব।

    সাইবার ওয়ার্ল্ডেও মনিটরিং অব্যহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারন এই অনুষ্ঠান ঘিরে কেউ অপপ্রচার চালাতে না পারে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি আমরা শিশু, মা বোন, বৃদ্ধ তাদের প্রতিও বিশেষ নজর রাখবো।’

    পোশাকে, সাদা পোশাকে, রাস্তায় মটরসাইকেল টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।