পুলিশে চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, আটক ২
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বেতাগীতে (বরগুনা) পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বেতাগী পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান মনির।
জানা যায়, গত বছরের ১ নভেম্বর বরগুনার বেতাগী উপজেলার গ্যারামর্দন এলাকার জলিল গোলদারের নাতি মো. ইব্রাহিম গোলদারের কাছ থেকে পুলিশের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে টাকা আদায় করে প্রতারকরা। তারা বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে কৌশলে মোট ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
মৌখিকভাবে পুরো ছয় লাখ টাকায় চাকরির চুক্তি হয়। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি না হওয়ায় এবং প্রতারকরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে ভুক্তভোগী পরিবার প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারে। পরে মো. ইব্রাহিমের দাদা জলিল গোলদার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বেতাগী থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, মামলার পর বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিলের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একটি অভিযানন পরিচালনা করার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্সকে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে গত রবিবার (৬ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রিন্সের গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য মতে মনিরকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার গাবুয়া এলাকা থেকে পরের দিন সোমবার (৭ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করা হয়।
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার গাবুয়া গ্রামের শামসুল হক হাওলাদারের ছেলে সৈয়দ আহমেদ প্রিন্স ও বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার গ্যারামর্দন এলাকার আমজাদ হোসেন খানের ছেলে মনির হোসেন খান এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা। তারা একটি প্রতারক চক্রে সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন প্রলোভনে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য মিলেছে।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। সাধারণ মানুষ সচেতন হলে প্রতারকরা প্রতারণা করার সুযোগ পাবে না। প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।