১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার, সকাল ১০:২৮



আজ : ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার প্রকাশ করা : এপ্রিল ৮, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    সরকার থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করা উচিত : ভিপি নুর

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :

    গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হলে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখনই পদত্যাগ করা প্রয়োজন।

    সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা ফেরার পথে নরসিংদী ক্লাব মিলনায়তনে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    নুর বলেন, বর্তমান সরকারে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন থাকলেও সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের অবস্থান এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। তাঁদের একজন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, কিন্তু অন্যরা এখনও সরকারের অংশ হিসেবে রয়েছেন। এটি দ্বৈত ভূমিকা—একদিকে দল করছেন, অন্যদিকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, যা জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।

    তিনি সতর্ক করে বলেন, “সরকার এমন কিছু না করলেই ভালো, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনাস্থার জন্ম দেয়। যদি দলগুলোর আস্থা হারিয়ে যায়, তাহলে সরকারও টিকে থাকতে পারবে না, দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই সে আস্থার সংকটের কিছুটা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাই এখনই সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের।”

    নুর আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় পরিবর্তন শুরু হয়েছে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মাধ্যমে। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে থেকে ছাত্র সমাজ এবং সাধারণ মানুষ গণজাগরণে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। ৫ আগস্টের আগেই আমরা বলেছিলাম, পুরনো শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। সেই আহ্বানে মানুষ সাড়া দিয়েছিল।”

    তিনি উল্লেখ করেন, “৫ আগস্ট শুধু ফ্যাসিবাদের পতন নয়, এটা ছিল পুরনো ব্যর্থ রাজনৈতিক ব্যবস্থারও অবসান। এই নতুন বাস্তবতায় তরুণ নেতৃত্বই হবে আগামী দিনের চালিকাশক্তি। গণঅধিকার পরিষদের তরুণরাই সংগ্রামের মাধ্যমে নেতৃত্বে উঠে এসেছে এবং এরাই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত।”

    নুর বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনশো আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। দেশের জনগণের মধ্যে এখন রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে—আমরাই সেই পরিবর্তনের বাহক হতে চাই।”

    সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, নরসিংদী জেলার সাবেক সভাপতি নান্নু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মিয়া, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি জনি ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সুশীল চন্দ্র পাল, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি জেমস বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক রবিন আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমরান, সাধারণ সম্পাদক আলামিন এবং মৌসুমি আক্তার সুমি প্রমুখ।