ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল, তিন মাদ্রসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
শিবু সাওজাল, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি ঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা জাকারিয়াসহ দুই মাদ্রসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বাক্ষর জাালিয়াতির অভিযোগে বুধবার রাতে তিন মাদ্রসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারী নিয়মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাদ্রাসাটির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তার বিল বেতন বন্ধ রয়েছে। ঐ বকেয়া বিল উত্তোলনের জন্য মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাসুম গাজী ও মাদ্রাসাটির সহকারী মৌলভী জাকারিয়ার মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম ও মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেনের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করে গত রবিবার সোনালী ব্যাংক মঠবাড়িয়া শাখায় জমা দেন। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধ না করে বিল কাগজ আটকে রাখতে বলা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে এক পর্যায় ঐ শিক্ষক ব্যাংক থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয় অভিযুক্ত প্রভাষক আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতির গটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি মাদ্রসার পরিচালনা কমিটির লোকজন জানে। তবে আমার কিছু বিল বকেয়া আছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সহকারী মৌলভী জাকারিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার বিল কাগজ ব্যাংকে জমা দিয়ে আসছি। স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম জানান, তাঁর স্বাক্ষর ও সিল নকল করে সোনালী ব্যাংক মঠবাড়িয়া শাখায় বিলের জন্য জমা দেন। বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথে ঘটনায় জড়িত তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।