১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার, বিকাল ৫:৩৮



আজ : ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার প্রকাশ করা : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে হাসনাত-পাটোয়ারী, জানতে চায় ছাত্রদল

    নিজস্ব প্রতিবেদক । নিউজনেক্সটবিডি.কম

    উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ ও নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন? বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) গেমস রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন নাছির বলেছেন, হাসনাত আবদুল্লাহ বিভিন্ন সভা সেমিনারে মানুষকে জ্ঞান দিয়ে বেড়ান, ওয়াজ নসিহত করেন। কিন্তু উপদেষ্টাদের মিটিং-এ তিনি এবং নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন তা আমরা জানতে চাই।

    তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুক এবং ঢাকায় বসে হামলার বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করেছেন।

    নাসির আরও বলেন, বাংলাদেশে যত ছোট বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর মূলে ছিল শর্টসার্কিট। গতকাল সেই কাজটি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ওমর ফারুক এবং মনিটরিং করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

    তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে যারা আত্মপ্রকাশ করতে ভয় পেয়েছে, সেই শিবিরের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা যদি হামলা না করতো এমন সংঘাত কখনোই হতো না৷ তাদের নির্যাতনের মাত্রা এতই বেশি ছিল যে, আহত শিক্ষার্থীরা দোকানে আশ্রয় নিলে দোকানদারদেরও বৈষম্যবিরোধীর কথিত শিবির সন্ত্রাসীরা হামলা করে। পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এরপর ছাত্রদলের নামে মব সৃষ্টি করা হয়।

    ছাত্রদল সেক্রেটারি বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে চাওয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিতে চাওয়া অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। প্রকাশ্য রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। কুয়েটে ছাত্রদল প্রকাশ্য রাজনীতি চর্চা করতে চায়।

    ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব। কথিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে গোপন সংগঠন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের আড়ালে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করা হলে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস হবে এবং শুধু বাংলাদেশবিরোধী গোপন নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়বে।

    সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, কুয়েটে শিবির ও বৈষম্যবিরোধীর কমিটি আছে তাহলে ছাত্রদল ফরম বিতরণ করে কি দোষ করেছে? তারাই বিনা কারণে হামলা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে আহ্বায়ক তাকে আমরা শিবিরের নেতা হিসেবে জানি। তারা যদি রাজনীতি করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না? আমরা এখনও এক এবং ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা বজায় রাখতে চাই। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে না বলে প্রচার চালায়। যখন তারা ব্যর্থ হয়, তখন তারা শিবির হিসেবে অপপ্রচার চালায়।

    তিনি আরও বলেন, উদাহরণস্বরূপ দেখা যায়— ছাত্র রাজনীতি দেখিয়ে এ রাজু ভাস্কর্যে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে তারাই শিবির নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এত বোকা না। এভাবে তারা গোপনীয়ভাবে রাজনীতি যেন করতে না পারে, সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিবিরকে দায়ী করছি।