১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার, রাত ১০:১৪



আজ : ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার প্রকাশ করা : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সহকর্মীকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ

    মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :

    পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক সহকর্মীকে মারধর অপমানজনক মন্তব্য ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ হালদারের থানায় দায়ের করা এক লিখিত অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাকিল সরোয়ারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে হাসপাতালের কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    অভিযোগে জানাগেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাকিল সরোয়ারের একটি চিঠি ইস্যু করেন, যেখানে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি না থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরবর্তীতে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডা. শাকিল সরোয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক জরুরি সভায় সৌরভ হালদারসহ অন্যান্য মেডিকেল অফিসারদের উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করেন। সৌরভ হালদার এবং তার সহকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত কর্মকর্তা তাকে কক্ষে ডেকে নিয়ে অকথ্য গালিগালাজ শুর করেন। এক পর্যায় তিনি কিল ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন। এতে তার শরীরে ফুলা জখম হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

    এছাড়াও, সৌরভ হালদার অভিযোগ করেছেন যে, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।(যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৪২২/৩৯) । এ ঘটনার বিচার চেয়ে আহত সৌরভ হালদার মঠবাড়িয়া থানায় অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এই ব্যাপারে অভিযুক্ত মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাকিল সরোয়ারের মারধর ও হেনস্থার কথা অস্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি মঠবাড়িয়া হাসপাতালের একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (ঝঅঈগঙ) কর্তৃক রচিত একটি প্রেসক্রিপশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে আসে, যেখানে সরকারি হাসপাতালের পর্যাপ্ত ওষুধ থাকা সত্ত্বেও বাহিরের ওষুধ লিখে দেওয়া হয়। এতে রোগীদের অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়, যা সরকারি চিকিৎসা সেবার নীতিমালার পরিপন্থী। বিষয়টি নজরে আসার পর, জনস্বার্থে ঝঅঈগঙ-দের চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া প্রেসক্রিপশন দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (ইগউঈ) অনুমোদিত নির্দিষ্ট ৭২টি ওষুধের মধ্যেই তাদের সীমাবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেই। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে আঘাত লাগায় তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে তিনি দাবি করেন।

    এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে । অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।