কক্সবাজারে সওজের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
কক্সবাজারের রামুতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোটি টাকা মূল্যের বিপুল জমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক স্থাপনা। রামু উপজেলার রাজারকুল পাঞ্জেগানা বাজারের দক্ষিণ পাশে রামু-মরিচ্যা সড়কের পাশ্ববর্তী স্থানে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। মাসখানেক ধরে এভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলেও তা বন্ধকল্পে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজারকুল শিকলঘাট এলাকার শফিউল আলমের ছেলে দিদারুল আলম ও শেকাত উল্লাহর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন লাবুর নেতৃত্বে প্রায় ১ একর জমিতে এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই এলাকায় স্থায়ী সেনানিবাস হওয়ায় জমির দাম এখন আকাশচুম্বি। জবর-দখলকারি দিদারুল আলম ও বেলাল উদ্দিন লাবু এখানে সওজের জমিতে প্রভাব বিস্তার করে দোকান পাট ও ভাড়া বাসা নির্মাণ করে চলেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দিদারুল আলম নামের ব্যক্তিটি সওজের জমিতে ২০টিরও বেশী কক্ষ বিশিষ্ট লম্বা আকারে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ তদারকি করছেন। ১০ জনের অধিক শ্রমিক ইটের গাঁথুনিসহ নির্মাণ কাজ করছেন। এরমধ্যে অধিকাংশ কক্ষের গাঁথুনি শেষের দিকে। অপরদিকে এ সড়কের একপাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ও খাস জমি দখল করে একাধিক দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন বেলাল উদ্দিন লাবু।সওজের জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে দিদারুল আলম জানান, অনেকেই তো এখানে সওজের জমি দখল করেছে, আমি করলে দোষের কি।
এসময় ছবি তুলতে চাইলে তিনি বাধা দিয়ে বলেন, এখানে কোন ছবি তোলা বা ভিডিও করা যাবে না।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিদারুল আলম প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন সওজের বিপুল জমি জবর-দখল করে রাখে এবং সম্প্রতি সেখানে ঘেরাবেড়া দিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছে। বিপুল পরিমান সরকারি জমি জবরদখল হওয়ার এ ঘটনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের ভূমিকা নিয়েও জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ওই এলাকায় সওজের জমি দখলের বিষয়টি দেখার জন্য অফিসের একটি টিম যাওয়ার কথা ছিল। সওজের জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তা তদন্ত করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জবর-দখল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।