২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার, ভোর ৫:১২



আজ : ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

  • কোন মন্তব্য নেই

    আসাদের স্ত্রীর বিচ্ছেদের আবেদন ভিত্তিহীন: রাশিয়া

     

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক । নিউজনেক্সটবিডি.কম

    সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ব্রিটিশ স্ত্রী আসমা আল-আসাদ বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছেন। এমনকি, আসাদকে আটকে রেখে তার সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি তুর্কি ও আরব গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ পায়। তবে আসমা আল-আসাদ বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন ও তাকে রাশিয়ায় আটকে রাখার বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন।

    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই প্রতিবেদনগুলোর কোনো সত্যতা নেই। আসাদ মস্কোতে আটক ও তার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে- এমন দাবি মিথ্যা।

    এর আগে রোববার তুর্কি ও আরবি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর আসাদ পরিবার রাশিয়ায় আশ্রয় পেয়েছে। এরমধ্যেই আসমা আল-আসাদ মস্কোতে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন বলে দাবি করা হয়।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৭৫ সালে লন্ডনে সিরীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আসমা। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। তবে ২০০০ সালে আসমা সিরিয়ায় যান ও একই বছর আসাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

    বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। এরপর ২৪ বছর শক্ত হাতে শাসন করেন সিরিয়া।

    তবে ১২ দিনের ঝটিকা আক্রমণে গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও আরও কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিমানে করে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।

    ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাশার আল-আসাদ মস্কোতে আশ্রয় লাভ করেন। সেখানে বসবাস করলেও তার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তাকে মস্কো ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হয়নি বা রাজনৈতিক কোনো তৎপরতা চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

    এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ ও অর্থ জব্দ করেছে। তার সম্পদের মধ্যে ছিল ২৭০ কেজি স্বর্ণ, ২ বিলিয়ন ডলার, মস্কোতে ১৮টি অ্যাপার্টমেন্ট।

    বাশার আল-আসাদের ভাই মাহের আল-আসাদকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেয়া হয়নি। তার অনুরোধ এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে বলে সৌদি ও তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে। খবরে বলা হয়, মাহের ও তার পরিবার রাশিয়ায় গৃহবন্দি রয়েছেন।