সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক । নিউজনেক্সটবিডি.কম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এস কে সুর চৌধুরী), তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ার অভিযোগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) এ মামলা করে দুদক।
আজ সোমবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই তিনজন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ (২০০৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দুদকে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হন।
উল্লেখিত ধারার বিধান মোতাবেক উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়
তবে, এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।
চলতি বছরের ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এস কে সুর চৌধুরী), তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
ঐদিন দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের ও সন্তানের আয়-বায়ের সঠিকতা এবং তাদের মালিকানাধীন অন্য কোনো সম্পদ রয়েছে কি না তা যাচাই/পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য শুরু থেকে ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথি পর্যালোচনা করা অবশ্যক।
তিনি ডেপুটি গভর্নর থাকার সময় ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আলোচিত ব্যাংকার পি কে হালদারের তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এস কে সুরের বিরুদ্ধে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করার অভিযোগ ছিল।
এর আগে পি কে হালদারের কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় এনবিআর।
এর আগে ১৫ মার্চ হাইকোর্ট এক এক আদেশে প্রশ্ন তোলে এস কে সুর চৌধুরীকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাকে নিয়ে আর খবর আসেনি গণমাধ্যমে। তিনি কোথায় আছেন, কী করছেন, সেই বিষয়টিও জানা যায়নি।