২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার, সকাল ৬:০৪



আজ : ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

  • কোন মন্তব্য নেই

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকে ভরপুর

    জাফর আলম, কক্সবাজার :

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেদিকে তাকাই সেদিকেই মানুষ আর মানুষ। হাজার হাজার মানুষের সমাগম তখন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়।কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছুটছেন এদিক-সেদিক, কেউ মুঠোফোনে ছবি তোলায় ব্যস্ত।

    কেউ আবার দ্রুতগতির নৌযান ‘জেডস্কি’ নিয়ে ঘুরে আসছেন সমুদ্রের বিশাল জলরাশি থেকে। শীতের শুরু মানেই ভ্রমণের আনন্দ। ভ্রমণ যদি হয় নীল দিগন্ত ছুঁয়ে আর পাহাড়ের সাথে মিতালী করে! তবে তো কথায় নেই। প্রকৃতির এমন অসাধারণ মেলবন্ধনে হারাতে মানুষ আসে কক্সবাজার। কর্মক্ষেত্রে ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসুরা আপনজনদের নিয়ে চলে আসেন সমুদ্র দর্শনে। বছরেরও শেষ। বছরের শেষ সময়ের ছুটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। আর তাই লেখাপড়ার চাপ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের সাথে করে পরিবার নিয়ে ছুটে আসছেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে।

    ঢাকা মিরপুর থেকে আসা পর্যটক হায়দার খাঁন জানান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র দেখার স্বপ্ন আমার অনেক পুরনো। আজ বাস্তবে এই সমুদ্রের বিশালতা দেখে আমি মুগ্ধ। গত দু’দিন সমুদ্র ঘুরে দেখেছি। যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে সমুদ্র দেখে।শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব ঋতুতেই পর্যটন নগরী কক্সবাজার তার রূপ সৌন্দর্যের ডানা মেলে ধরে। সেই সৌন্দর্যে বিভোর হতেই এখন সারাবছর পর্যটকরা আসে সমুদ্র সৈকতে।

    এর ফলে দীর্ঘদিন নানা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখে থাকা পর্যটন ব্যবসায়ও কিছুটা আলোর মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা।পর্যটক শিক্ষক কলিম উল্লাহ জানান, পাটুয়াটেক পাথুরে বীচে এসে ভাল লাগছে। ছুটির দিনে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বেড়াতে আসছি বলে জানান তিনি।পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন পর পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার। ডিসেম্বর মাসের প্রতিদিনই লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটছে সমুদ্র নগরীতে।

    অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার প্রত্যাশা করছি৷সেন্টমার্টিন ভ্রমণের আগামী এক সপ্তাহের টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি হোটেল মোটেল গুলোতেও ৮০-৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।সমুদ্রে মানুষের আনাগোনা যতো বাড়ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে লাইফগার্ড কর্মীদের কর্মতৎপরতা। সমুদ্রের এক পয়েন্ট থেকে অন্য পয়েন্টে ছুটে যাচ্ছেন লাইফগার্ড কর্মীরা।

    লাইফগার্ডকর্মী মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, পর্যটকে টইটম্বুর সৈকতে যেনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই সার্বক্ষণিক সচেষ্ট রাখা হয়েছে লাইফগার্ডকর্মীদের। সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে যেনো ঝুকিপূর্ণ স্থানে গোসলে না যায় পর্যটকরা।এছাড়াও পর্যটকরা যেনো নির্বিঘ্নে সময় পার করতে পারে, তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন।