২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার, রাত ১১:৩৭



আজ : ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : ডিসেম্বর ৬, ২০২৪

  • কোন মন্তব্য নেই

    রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১

     

    রাউজান প্রতিনিধি । নিউজনেক্সটবিডি.কম

     

    চট্টগ্রামের রাউজানে বিজয় মেলা নিয়ে বিরোধে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

     

    শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাউজান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

     

    উভয় পক্ষের আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম নূরুল হুদা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহিম উদ্দিন ওয়াসিম, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ রিজুয়ান, মোহাম্মদ রাকিব, আবদুস ছালাম, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ সাকিল, সাইফুদ্দিন রিবন, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ রুবেল মো. রবিসহ ১১ জন। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।

     

    স্থানীয়রা জানায়, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার সমর্থিত রাউজান উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে বিকেল ৪টায় বিজয় দিবসের মিছিল করেন। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ২০-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে ৭০জন নেতাকর্মী মিছিলে বাঁধা দেয়। তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত। এসময় উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়।

     

    উত্তর জেলা যুব দলের সভাপতি হাসান জসিম কালবেলাকে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ বিজয় দিবসের মিছিলে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করা হয়েছে। এতে ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

     

    উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম মোরশেদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত মারধর শুরু করে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা।

     

    এদিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান কাজল কালবেলাকে বলেন, খন্দকার গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করতে উপজেলা পরিষদে জড়ো হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে হামলা চালাতে পারে। এ ঘটনায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

     

    রাউজান সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি যুবদল নেতা রাসেল খান বলেন, হামলার কোনো ঘটনা হয়নি। গিয়াস ভাইয়ের নির্দেশনা রয়েছে রাউজানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে রাজনীতি করতে হবে। রাউজান বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গিয়াস ভাইয়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

     

    রাউজান থানার ওসি একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুপক্ষের লোকজন চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।