২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার, সকাল ৭:০৮



আজ : ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : ডিসেম্বর ৬, ২০২৪

  • কোন মন্তব্য নেই

    বাজারে আলু-পেঁয়াজের দামে অস্বস্তি

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক  ।  নিউজনেক্সটবিডি.কম

     

    তরতাজা শীতের সবজিতে ভরে ওঠেছে বাজার। অন্যান্য সবজিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। এক কেজি নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। টমেটো ১২০ টাকা ও পেঁয়াজ কলি ৫০ টাকা কেজি।

     

    শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, বসুন্ধরা ও মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

     

    সবজির বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৭০ টাকা (গোল) ও লম্বা ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

     

    আর প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

     

    এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৫০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

     

    কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা ও পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

     

    ব্যবসায়ীরা প্রায় একই রকম তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমলেও পেঁয়াজের দাম নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে সবার মধ্যে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চড়া দাম চলছে পেঁয়াজের।

     

    ডিমের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা ১৪৪ থেকে ১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

     

    মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

     

    এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা, শিং এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা এবং নদীর পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি।

     

    ইলিশের বাজারে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে তিন হাজার টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দুই হাজার টাকা হারে, আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা ও ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়।

     

    মাংসের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। জাতভেদে একটি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।